নিজস্ব সংবাদদাতা —ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার গোয়াতলা ইউনিয়নে জাল দলিল প্রস্তুত ও প্রতারণার মাধ্যমে ভূমি আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ অনুযায়ী, গোয়াতলা ইউনিয়নের ফুটকাই গ্রামের মোঃ অহেদ আলীর বি আর এসভুক্ত জমি জালিয়াতির আশ্রয়ে অবৈধভাবে দলিলভুক্ত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে একই গ্রামের ভুক্তভোগী বিমল মাস্টার লিখিত ও মৌখিক অভিযোগে উল্লেখ করেন যে, তিনি কখনোই অভিযুক্ত ব্যক্তির নিকট উক্ত জমি বিক্রি করেননি। তবুও জাল ও মনগড়া কাগজপত্রের মাধ্যমে তার নামে দলিল ও কাওলা সম্পাদন করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণরূপে আইনবহির্ভূত ও দণ্ডনীয় অপরাধ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয় যে, হাকিম সরকার পরিকল্পিতভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির জমির জাল দলিল প্রস্তুত করে অবৈধভাবে কাওলা ও নামজারি করে আসছেন। এ ধরনের একটি ঘটনায় জাল কাওলার ভিত্তিতে খারিজ (নামজারি) সম্পন্ন করা হলেও পরবর্তীতে তদন্তে জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া গেলে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সংশ্লিষ্ট খারিজ বাতিল ঘোষণা করেন।
অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত হাকিম সরকারের স্ত্রী রেজিস্ট্রি অফিসে কর্মরত থাকায় তার প্রভাব ও যোগসাজশে এসব অবৈধ কার্যক্রম সংঘটিত হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি গুরুতর হওয়ায় নিরপেক্ষ ও বিস্তারিত তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত করে প্রচলিত আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাকিম সরকারের বক্তব্য গ্রহণের জন্য একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। উল্লেখ্য, এর আগেও তার বিরুদ্ধে অনুরূপ অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট সাব-রেজিস্ট্রার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছিল বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে। তারা দ্রুত আইনানুগ তদন্ত ও জবাবদিহিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
