চট্টগ্রামে সুকৌশলে অপহৃত স্কুলছাত্রী এক মাস দশ দিন পর উদ্ধার

চট্টগ্রাম জেলার চাঁদগাও থানা এরিয়াতে বসবাস রত দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের একমাস দশদিন দিন পর পুলিশ কমিশনার সাহেবের নির্দেশে উদ্ধার করেছে চাঁদগাঁও থানা পুলিশ। বেশ কয়েক দিন ধরে মামলার বাদী ভিকটিম এর বাবা মোজাহেরুল ইসলাম কে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলো অপহরণ কারী চক্র।
গত একুশে জুলাই স্কুল ছাত্রী সাগরিকা আক্তার পিংকি বড় বোনের বাসা থেকে বান্ধবী খাদিজার সাথে বেড়ানোর কথা বলে বান্ধবীর বাসায় নিয়ে যায়। পিংকির বড় বোন খাদিজাকে বলে তুমাদের বাসা কোথায় খাদিজা বলে বায়জিত অক্সিজেন। তারা একটি সিএনজিতে করে চলে যায়। সারাদিন বাসায় বোন ফিরে না আসায় বড় বোন মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে চলে আসবে বলে জানান খাদিজা। তার এক দিন পর মোবাইল ফোনটা বন্ধ পাওয়া যায় পরে বান্ধবীর বাবা শহিদুল এর সাথে বড় বোনের স্বামী যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমি বাইরে আছি বাসায় গিয়ে আপনার শালিকে পাঠিয়ে দেবো। আর একদিন পার হয়ে যায়, বড় বোনের জামাই সন্ধ্যায় চাঁদগাও থানার উপ-পরিদর্শক এসআই জাকির কে সব খুলে বলেন এস আই জাকির বান্ধবীর বাবা শহিদুল কে ফোন দেন মেয়েটাকে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য তখন তিনি বলেন আমি এখন কুমিল্লায় আছি কুমিল্লা থেকে শুক্রবার এসে মেয়েটাকে পাঠিয়ে দেব। তখন এস আই জাকির বলেন মেয়েটিকে আপনি নিজে নিয়ে আসবেন শুক্রবার।দুইদিন পার হলো শুক্রবার তাদের মোবাইল ফোনে কল করলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তখন এস আই জাকির বড় বোনের স্বামী কে থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করতে বলেন , বড় বোনের স্বামী পুলিশের কথা মতো থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন, ডাইরি নং ১২৬২ তাং ২৪/৭/২০২০ টানা তিন দিন স্থানীয়ভাবে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা করা হয়। এদিকে ডাইরি করার পর অপহরণকারীরা এক প্রকার জিম্মি করে ভয় দেখিয়ে সুকৌশলে বড় বোনের স্বামীর নামে চাঁদগাঁও থানায় একটি মামলা করান, মামলা নং ( ৩৮) ২৬/০৭/২০২০। উক্ত ঘটনা ও মামলার বিষয় জানাজানি হলে পিংকির বাবা ঘটনা স্হলে আসেন, মেয়েটিকে নিতে চাইলে পিংকির বাবার কাছ থেকে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন শহীদুল ও সোলেমান নামের এক দালাল, তারা বলেন থানায় মামলা করতে আমাদের অনেক টাকা খরচ হয়েছে। ছাত্রীর বাবা পঞ্চশ হাজার টাকা দিতে রাজি হয়েছিলেন, কিন্তু অপহরণকারীরা তাথে রাজি হননি, টেলিফোনে অনেক অনুরুধ করেন তাতেও কাজ না হওয়ায় ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে চট্টগ্রাম কোর্টে একটি অপহরণ মামলা করেন। মামলার একমাস নয় দিন অতিবাহিত হলেও চাঁদগা থানা পুলিশ ছাত্রীকে উদ্ধার করতে তেমন জোরালো ভূমিকা পালন করেনি। এদিকে মামলার আইও এস আই আমির মামলার বাদী কে বলেন আপনি আমার কাছে মুছলেখা দিয়ে আপনার মেয়েকে নিয়ে যান। মামলার বাদী বলেন আমি আদালতে মামলা করেছি তাই আদালত থেকে আমি আমার মেয়েকে নিবো, আপনার নিকট থেকে নিবোনা। ছাত্রী অপহরণ এর সংবাদ পুলিশ কমিশনার জনাব মাহাবুবুর রহমান জানতে পারেন গতকাল মঙ্গল বার দুপুর এর সময় সাতে সাথেই কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন ভিকটিম কে উদ্ধার করার জন্য আর কয়েক ঘণ্টার পরেই ভিকটিম কে একা উদ্ধার করেন চাঁদগাঁও থানা পুলিশ । মামলার আসামী ১/ মুকছুদুল ইসলাম প্রকাশ মুছা ২/মাহমুদ ৩/ খাদিজা আক্তার ৪/ রহিমা সর্ব পিতা শহিদুল ইসলাম ( ভোদ্ধ) ৫/ শহিদুল ইসলাম পিতা আলি আজগর মাষ্টার সাইকচার + তালুকদার বাড়ি) থানা মনোহরগন্জ জেলা কুমিল্লা। ৬/ মো: সোলেমান প্রকাশ দালাল সোলেমান, পিতা উলা মিয়া সাং মধুখালী পুর্ব টেইটং থানা পেকুয়া জেলা কক্সবাজার। বর্তমানে এক কিলো মিটার মোস্তফা কামাল মন্জিল সর্ব থানা চাঁদগাঁও জেলা চট্টগ্রাম ।