সেপ্টেম্বর মাস ঝিনাইদহ বাসীর জন্য কালো মাস বা ভয়ঙ্কর মাস বলে থাকেন অনেক রাজনৈতিক নেতারা। কারন এই মাসে ঝিনাইদহে রাজনৈতিক হত্যাকান্ড বেশী সংঘটিত হয়েছে। বিগত দিনে একটু ফিরে তাকাই।
২৪শে সেপ্টেম্বর ১৯৮০ সালে জেলা যুবদলের সভাপতি মুকুলকে জাসদ গনবাহীনি কর্তৃক হত্যা।
৭ই সেপ্টেম্বর ৮৬ কলাবাগানের মনা ছাত্র মৈত্রী কর্তৃক হত্যাকান্ড,
৭ই সেপ্টেম্বর ৮৯ সাল ছাত্র মৈত্রী কর্তৃক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সেকেন্দার আলী হত্যা,
৭ই সেপ্টেম্বর মুরারিদহ গ্রামের কমিউনিস্ট পার্টির মসলেম উদ্দীনের হত্যা
৭ই সেপ্টেম্বর ৯১ সাল পবহাটির কাউছার আলী হত্যাকান্ড।
১৭ সেপ্টেম্বর ৯১ সাল ছাত্র মৈত্রী কর্তৃক কেসি কলেজের ভিপি শাহজাহানুর মিঠু হত্যা,
৭ই সেপ্টেম্বর ৯৩ সাল বিসিক মাঠে ভুটিয়ারগাতীর আলী কদর কদু হত্যাকান্ড।
৬ই সেপ্টেম্বর ৯৬ সাল আরাপপুর ষ্টান্ডে ঝিনাইদহ পৌর কমিশনার শাহাদাৎ হোসেন হত্যা।
৭ই সেপ্টেম্বর ৯৬ ব্যাপারী পাড়ার মিসরুক আলী এবং ঐ দিনই দুগ্রুফের গোলাগুলি মাঝে পড়ে নারায়ন ঘোষ নামের একজনের মৃত্যু।
৭ই সেপ্টেম্বর ৯৭ সালে ব্যারিষ্টার মোম হত্যাকান্ড।
৭ সেপ্টেম্বর ২০০৬ সালে পবহাটি গ্রামের জামাতের আবু বক্কার হত্যাকান্ড।
৭ই সেপ্টেম্বর জেলা যুবদলের নেতা লাউদিয়ার ভুট্রো হত্যা। ৭ই সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে হাটের রাস্তায় শিকারপুরের রিপন হত্যা।
সেপ্টেম্বর ২০০৩ সালে জাসদের আঞ্চলিক নেতা মহিউদ্দিন মহিকে পবহাটি ব্রীজের মাথায় গুলি করে হত্যা।
সেপ্টেম্বর ২০০৫ সালে উপজেলার ভিতর সন্ধার সময় দুজনকে গুলি করে হত্যা।
এছাড়া ঝিনাইদহ বিভিন্ন সময়ে হত্যাকান্ড। শহরের প্রান কেন্দ্রে ৭৩ সালে রবি ও রশিদ হত্যা, ৭২ সালে ভুটিয়ারগাতির সিরাজ মিয়া, ও টিকলু,
১৯৮৭ সালে ব্যাপারী পড়ার ততকালীন কাজী জাকির হোসেন ( জাকির মস্তানকে) জেলখানার সামনে গুলি করে হত্যা
৮৭ সালে ঝিনাইদহ ৩ নং ওয়ার্ডে কমিশনার মোঃ আলী হত্যা। ৮৭ সালে জাসদ ও সর্বহারার যুদ্ধে ৭ জন হত্যাকান্ড।
১৩ই জুলাই ৯৮ যুবদলের নেতাকে মোসলেম উদ্দীনকে মিছিলে গুলি করে হত্যা।
২৫শে জুলাই থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কার সিদ্দিকে বোমা হামলায় হত্যা।
১ লা ডিসেম্বর ১০ সালে জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হায়দার আলী হাদুকে গুলি করে হত্যা।
বিএনপি নেতা ও সাগান্ন ইউপি চেয়ারম্যান শাহাজাহান কে হত্যা।
গান্না ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা শরাফত আলী ও গান্নার বিএনপি সম্পাদক কবির হত্যা। পাগলাকানায়ের যুবদল নেতা শান্ত হত্যা।
১৯৯৩ সালে ডিসেম্বরে কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিষ্ঠাতা আঃ হক( হক সাহেব) এবং কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা লাল শহীদকে পবহাটি কলার হাটে হত্যা।
১৯৯৯ সালে আদর্শপাড়ার দাঙ্গা মাসুদকে হত্যার পর ধোপাঘাটা ব্রীজের নিচেই বস্তাবন্দি অবস্থায় পওয়া যাই।
১৯৯৩ সালে ডিসেম্বরে কমিউনিস্ট পার্টির নেতা আরাপপুরে রাব্বুল ও জাহাঙ্গীরকে হত্যা।
২০০৭ সালে শ্রমজীবী মুক্তি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস আলী দীলিপ সহ ২ জনকে পাগলাকানায় মোড়ে হত্যা।
১৯৯৯ সালে জাতীয় পার্টির নেতা বাজারপাড়ার মোঃ আলীকে হত্যা।
২০০৭ সালে বাজারপড়ার সুবোধ কুন্ডুকে গুলি করে হত্যা।
২০০১ সালে মুরারীদহ গ্রামের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা রেজাউল ইসলামকে হত্যা
২০১০ সালে ডিসেম্বরে পবহাটি জাহানারা জবেদ মার্কেটের সামনে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আলম, বজলু ও সোহান হত্যাকান্ড।
হেফাজতের মিছিলে ২০১৩ সালে হাটের রাস্তায় হাসপাতাল মসজিদের ইমামকে কুপিয়ে হত্যা।
২০১৯ সালে সেপ্টেম্বরে আরাপপুর সোনালী পাড়ার ফিরোজকে গুলি করে হত্যা।
এই সেপ্টেম্বর মাস সম্পর্কে সাবেক ফুটবলার তারকা ও ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক জাহিদুজ্জামান মনা বলেন আমার চোখের সামনেই সেপ্টেম্বর মাসে ঝিনাইদহে অনেক হত্যাকান্ত ঘটেছে বা দেখেছি। তাই এই মাসে একটু সাবধানে চলাফেরা করি।
এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক আওয়ামী লীগ, বিএনপি, নেতা বলেন সেপ্টেম্বর মাস আমাদের ঝিনাইদহের জন্য ভয়ের মাস।
Attachments area