দেওয়ানগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা, চর আমখাওয়া,পাররামরামপুর, হাতিভাঙ্গা, বাহাদুরাবাদ, চুড়াইবাড়ি, চিকাজানী সদর ইউনিয়নে চতুর্থ দফায় বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতিপূর্বে দফায় দফায় বন্যায় উপজেলার সর্বত্রই ব্যাপক ক্ষতি হয় । বন্যার পর ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার জন্য কৃষকগন বাহির থেকে চারা ক্রয়করে এবং বীজতলা তৈরী করে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে। বন্যার পর অধিক জমিতে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করে আশার আলো দেখতে থাকে।
চতুর্থ দফা বন্যা সে আসা ভেসে যায়। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জিঞ্জিরাম ও ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সাথে সাথেই শত শত রোপা আমন ধানের জমি পানির নিচে তলিয়ে যায়। দফায় দফায় বন্যায় পরও কৃষক বাম্পার ফলনের আশা করছিল। কিন্তু চতুর্থ দফা বন্যা শুরু পর সে আসা ভেসে যায়। কৃষক আশায় বুক বেঁধে জমিতে রোপা আমন ধান লাগিয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে জিঞ্জিরাম ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় শত শত একর জমি রোপা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে ।
এ ব্যাপারে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রহমান নান্নু সাংবাদিকদের জানান, যে অনুপাতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে পানির স্থায়িত্ব যদি বেশি দিন থাকে তাহলে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। বন্যা পরবর্তী রবি মৌসুমের ফসল গুলো সঠিকভাবে কৃষকদের চাষ করতে হবে। বন্যা পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা যাতে করে কৃষি পুনর্বাসন পায় সে জন্য সরকারের প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করছি।