কালকিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সোহেল রানা মিঠুর আয়োজনে দিনমজুর খেটে খাওয়া অটো চালক ও যুব-তরুন ও সমাজের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার বিকেলে,বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শিক্ষকের সন্তান,সোহেল রানা মিঠুর নিজ বাড়ির এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার জনতার ঢল দেখা দেয়। এতে কালকিনি পৌরসভার প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার, অটোচালক, তরুণ, ছাত্র ও যুবকরা উপস্থিতিত ছিল।
সোহেল রানা মিঠুকে মেয়র হিসেবে দেখতে চান এ শ্লোগানে- শ্লোগানে চতুরদিক মুখরিত হয়ে ওঠে।
সম্ভাব্য কালকিনির মেয়র প্রার্থী জনাব মো: সোহেল রানা মিঠুর বক্তব্যে কালকিনি পৌরবাসীর উদ্দেশ্যে বলে!
(!)তরুণরা যাতে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে বাড়িতে বসেই উপার্জন করতে পারে সে লক্ষ্যে পৌরসভার উদ্যোগে ডিজিটাল সেন্টার চালু করা হবে। এ ডিজিটাল সেন্টারে নিয়মিত শিক্ষকের পাশাপাশি প্রতিমাসে দেশসেরা ফ্রিল্যান্সারদের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। এ ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোগে সফল আইটি উদ্যোক্তাদের নিয়ে প্রতি বছর ক্যারিয়ার সেমিনার করা হবে। পৌরসভা এলাকার কোনো আইটি স্কলারের আইটি সংক্রান্ত যেকোনো নতুন উদ্যোগের আর্থিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতাও করা হবে।
(!)বেকারদের কর্মক্ষম হিসেবে গড়ে তুলতে পৌরসভার উদ্যোগে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু করা হবে। এক্ষেত্রে বিনামূল্যে ছয়মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বেকাররা ছোট ছোট উদ্যোগ গ্রহণ করে বেকারত্ব দূর করতে পারবেন।
কারিগরি প্রশিক্ষণের পাশাপাশি পৌরসভার উদ্যোগে তৈরি করা হবে উদ্যোক্তা কেন্দ্র। এ কেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরণের কৃষি, পশুপালন, মাছ চাষ, দেশীয় প্রযুক্তিতে বিদেশী ফল চাষসহ নানা ধরণের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। এতে দেশসেরা সফল উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে অভিজ্ঞতালব্ধ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে।
(!)কালকিনি পৌরসভায় অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকলেও কেবলমাত্র সঠিক গাইডলাইনের অভাবে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা বঞ্চিত হন। অনেকে দারিদ্রতাসহ নানাবিধ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কোচিং করতে পারেনা। ফলে বুয়েট, মেডিকেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পৌরসভার খুব কম সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে। অথচ মেধাবী শিক্ষার্থীরা সঠিক গাইডলাইন পেলে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের পাশাপাশি হতে পারতো দেশসেরা গবেষক, ডাক্তারা, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার, শিল্পউদ্যোক্তা ।
মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধাকে কাজে লাগানো ও সঠিক ক্যারিয়ার গাইড লাইন দিতে প্রতি বছর এইচএসসি পরীক্ষার পর তিনমাসব্যাপী ক্রাশ প্রোগ্রাম চালু করা হবে।
এ ক্রাশ প্রোগ্রামের আওতায় যেসব মেধাবী শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী তাদের জন্য বুয়েট, মেডিকেল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে ক্যারিয়ার কাউন্সিলিং টীম গঠন করা হবে।
এ টিম বুয়েট,মেডিকেল ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় সফল হওয়ার উপযোগী করে তুলবে। কোনোরকম আর্থিক মূল্যে পরিশোধ ব্যতিত পৌরসভার বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের এ সুবিধা দেওয়া হবে।
আমার স্বপ্ন মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর, আগামী পাঁচ বছরে কালকিনি পৌরসভার অন্তত এক হাজার শিক্ষার্থীকে বুয়েট, মেডিকেল, ঢাকা বিশবিদ্যালয়সহ অন্য সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে চান্স পাবে। আমরা গর্ব করে যেনো বলতে পারি, শিক্ষাক্ষেত্রে কালকিনি পৌরসভা দেশের অন্য যেকোনো পৌরসভার থেকে অনন্য।
(!)খেলাধুলার জন্য কালকিনি পৌরসভায় নিজস্ব কোনো মাঠ নেই। স্কুল ও কলেজের মাঠই ভরসা। ক্রীড়া সরঞ্জামের সহজলভ্যতাও নেই।
নেই ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষকতাও। ফলে অনেক সম্ভাবনাময়ী ক্রিকেটার,ফুটবলার অকালেই ঝরে যায়।
মেয়র নির্বাচিত হলে ক্রীড়াক্ষেত্রে কালকিনিকে দেশের মধ্যে অনন্য সাধারণ হিসেবে গড়ে তুলতে ফুটবল একাডেমি ও ক্রিকেট একাডেমী গড়ে তুলবো।
কালকিনি উপজেলার ক্রীড়ামোদী ও সজ্জন যুবকদের সমন্বয়ে পরিচালনা টিম গঠনের পাশাপাশি থাকবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা আয়োজন করা হবে বয়স ভিত্তিক টুর্নামেন্ট থাকবে আলাদা মাঠ পর্যাপ্ত ক্রীড়া সরঞ্জাম সরবরাহ পাশাপাশি দেশের খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণ হিসেবে আনা হবে!
আমাদের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছর মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ক্রিয়া ক্ষেত্রে কালকিনি পৌর সভার বিস্ময় একটি নাম হয়ে উঠবে!
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে আমাদের একাডেমি তারকার সগর্ভে বিচরণ করে কালকিনির নাম উজ্জ্বল করবে !
তরুণদের বই প্রেমী হিসেবে গড়ে তুলতে পৌরসভা জুড়ে চালু করা হবে স্ট্রীট লাইব্রেরী!
উন্নত বিশ্বের শহরের আদলে পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ইস্টিক লাইব্রেরী তৈরি করা হবে এর মাধ্যমে যে কোন পাঠক আর্থিক মূল্য ছাড়াই তার পছন্দমতো বই নিতে পারবে নির্দিষ্ট সময়ে শেষ আবার লাইব্রেরীতে বই রেখে যাবেন
এই অনুষ্ঠানের
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তরুন সমাজের জনপ্রিয় মোটিভেশনাল ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাদারীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহ- সভাপতি খায়রুল আলম খোকন বেপারী,কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল রহমান, সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ইকবাল মাহামুদ বাবলু,সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জসিম উদ্দিন ভুঁইয়া, ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খাইরুল হাসান জুয়েল,ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. হেলাল উদ্দিন,ছাত্রলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ফয়সাল আহসান উল্লাহ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুজাদুর রহমান সুজাদ ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শিহাবউজ্জামান শিহাব প্রমুখ।