রিপোর্ট রূপান্তর বাংলা ডেক্সঃ বাংলাদেশে এখনো অনেক লোক আছেন যারা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে আদর্শিত হইয়া একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে দেশমাতৃকার সেবায় নিয়োজিত আছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রয়োজনে দেশের সেবায় জীবন দিতেও সর্বদা প্রস্তুত।
১৯৭১ সাল হইতে অদ্যবধি যিনি নিজেকে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করেছেন তিনি হলেন, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, বীরমুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর বর্তমান ডিআইজি ও RAB এর বর্তমান অতিরিক্ত মহাপরিচালক এম. আব্দুল জলিল মণ্ডল, বিপিএম।তিনি ১৯৫৭ সালের ১ এপ্রিল পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ।
তাঁর পিতার নাম আবদুর রহিম ও মাতার নাম ছকিরন নেছা। এম. আবদুল জলিল মণ্ডল নাজিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং পাংশা মহাবিদ্যালয়, রাজবাড়ি থেকে এইচএসসি পাস করেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ঢাকা থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। পাবনার কৃতি সন্তান এম আবদুল জলিল মণ্ডল বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে পুলিশ ক্যাডারের জন্য নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৮ সালে সহকারী পুলিশ সুপার পদে যোগ দেন। তিনি নীলফামারী, বাগেরহাট, জয়পুরহাট জেলার পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করেন ।
সিআইডিতে তিনি এসএস (প্রশাসন) ও এসবিতে এসএস (প্রশাসন)সহ পুলিশ একাডেমি, সারদা, রাজশাহী এবং পিএসটিএস বেতবুনিয়াতে পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ডিসি (সদর) হিসেবে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং এআইজিপি (অপরাধ) হিসেবে পুলিশ সদর দফতরে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন । অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অতিরিক্ত ডিআইজি) হিসেবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি), অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এবং পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) হিসেবে তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)তে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল তিনি অতিরিক্ত মহাপরিচালক হিসেবে RAB সদর দফতরে যোগ দিয়ে বর্তমানে সেখানে কর্মরত আছেন। নাজিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে তিনি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধে ৭ নং সেক্টরের তুফানী ব্যাটালিয়নের ইকো কোম্পানির চার্লি ফোর্সের সৈনিক হিসেবে ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নওগাঁর ফারসিপাড়া, ধামুইরহাট, দিনাজপুরের হিলি ও জয়পুরহাট দখলের সময় সরাসরি সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। নিজের যতোটুকু আছে তা থেকে গরিব-দুঃখী ও অসহায় মানুষদের সর্বদা সহযোগিতা/ সাহায্য করেন। তিনি নিজের জন্মভূমি এলাকায় বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।