ঝিনাইদহে প্রথম করোনায় আক্রান্ত হয়ে গোপাল কৃষ্ণ সাহা নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি জেলার শৈলকুপা উপজেলার কবিরপুর গ্রামে। তিনি গত ৭ জুন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যান। মৃত্যুর ৫ দিন পর শুক্রবার তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। মৃত ব্যক্তির বাড়ি লাল নিশানা উড়িয়ে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা প্রশাসন। এদিকে ঝিনাইদহে আরো তিনজন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় হরিণাকুন্ডুর এক সাংবাদিক ও বিভিন্ন উপজেলার ডাক্তারসহ মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ালো ৭২ জনে। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিনা বেগম জানান, এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ১৫৩৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় ও কুষ্টিয়া করোনা পরীক্ষা ল্যাব থেকে এপর্যন্ত মোট ১১১৯ জনের রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ৭২ জন আক্রন্ত। ১০৪৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ। একজন জন মারা গেছেন। আক্রন্তদের মধ্যে ৪১ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। উপজেলা ভিত্তিক আক্রান্তের সখ্যা সদরে ১৫ জন, শৈলকুপায় ১৭ জন, হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৫ জন, কালীগঞ্জে ১৮ জন, কোটচাঁদপুরে ১৩ ও মহেশপুরে ৪ জন। ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালসহ ৬ উপজেলার কোনো হাসপাতালেই আইসিইউ ও ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা নেই। এদিকে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম রহমান করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়ালো ১৭ জনে। তিনি কবিরপুরে অবস্থিত সাহিদা ক্লিনিক ও নুরজাহান প্রাইভেট হাসপাতালে সিজার ও রোগী দেখতেন। একারণে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে ক্লিনিক দুটিকে লকডাউন করা হয়েছে।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
