ময়মনসিংহ থেকে সিরাজুল হক সরকারঃ ঢাকা থেকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের কুলুরঘাট এলাকায় ওয়াজ মাহফিল শেষ করে নিজ বাসায়
ফেরার পথে মুফতি মীর মোয়াজ্জেমন হোসেন সাইফি (৩৪), ও তার ২ ক্যামেরাম্যান
মেহেদী হাসান ও ইসহাক আলী ইমন ও তার গাড়ির ড্রাইভার ফয়সাল আহমেদ তাদের
বহনকারী গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-গ ১৫-০২৮৬)সহ ৩দিন যাবৎ হদিস পাচ্ছেন না তাদের পরিবার-পরিজনেরা।গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা থেকে তাদের পরিবারের লোকজন মুক্তাগাছা থানায় এসে এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি করেন।
মুফতি সাইফির স্ত্রী নাঈমা সুলতানা (২৩) জানান, গত ১৪ মার্চ বেলা ২টায় ঢাকা খিলগাঁও ত্রিমোহনী পানিরপাম্প এলাকায় নিজ বাসভবন থেকে ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য রাখার জন্য ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের কুলুরঘাট এলাকায় জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত ৮টায় তিনি জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসায় পৌছেন। রাত ১১টা থেকে ১২ টা ১৬মিনিটে তার বক্তব্য শেষে করেন। বক্তব্য শেষে ১২টা ৫১ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
সে সময়ই নাইমার সাথে সর্বশেষ কথা হয়।৩দিন যাবৎ স্বামীর সাথে কোনরূপ যোগাগো না থাকায় নাঈমা সুলতানা গতকাল মঙ্গলবার মুক্তাগাছার কুলুরঘাট এলাকায় এসে মাদ্রাসা কমিটির সাথে কথা হলে তারা তাদেরকে জানান, মাদ্রাসা কমিটির এক মুরুব্বি হুজুরকে বিদায় বেলা কিছু দূর এগিয়ে দিয়ে আসেন। নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক এলাকাবাসী একাধিক ব্যক্তি তাদেরকে জানিয়েছেন হুজুরের গাড়ির পেছনে পেছনে একটি হায়েস গাড়ি তার গাড়ি অনুসরণ করে চলতে থাকেন। তিনি আরও জানান, মুফতি সাইফিসহ তার সফর সঙ্গীদের মোবাইল ফোন গত সোমবার বেলা ২টা পর্যন্ত খোলা ছিল কিন্তু কেউ ফোন রিসিভ করেননি।
ইতোমধ্যে মুফতি সাইফিসহ তার ৩ সঙ্গীর নিখোঁজ সংবাদ মুফতি সাইফির ফেইসবুক আইডিতে প্রকাশ করা হয়। মুফতি সাইফির ড্রাইভার ফয়সাল আহমেদের বাড়ি ত্রিমোহনী, খিলগাঁও, ঢাকা। ক্যামেরাম্যান মেহেদী হাসানের বাড়ি বগুড়ার আলম দিঘি ও ইসহাক আলী ইমনের বাড়ি সেনগ্রাম, চাটমোহর, পাবনা।