নিজস্ব সংবাদদাতাঃ বরগুনার আমতলী উপজেলার ৪নং হলদিয়া ইউনিয়নে মৌজাস্থ ছোট ভাইয়ের সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করে বড়ো ভাইয়ের পাকা দালান তৈরী করার অভিযোগে ১৩ই মার্চ থানায় অভিযোগ করেন ছোট ভাই মোঃ আখতারুজ্জামান মৃধা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ৪নং হলদিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন রওঘা গ্রামের মৃৃৃতু গিয়াস উদ্দিন মৃধার ৯ ছেলে জন্য আমতলী থানাধীন হলদিয়া মৌজায় ১ একর ৪১ শতাংশ জমি রেখে যায়, জাহার খতিয়ান নং ৩৩৭ জে.এল নং ২৬ দাগ নং ২৬৫, এর অন্দরে ৬ টি বসত বাড়ী রয়েছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আখতারুজ্জামান এর বড়ো ভাই, মতিউর রহমান, আমিন চৌকিদার, নজরুল মাষ্টার, রুহুল আমিন মৃধা, শানু মৃধা উভয় সবাই মিলে ছোট ভাইকে ক্ষমতার বলে তার ঘর ও শরিরে অনেক ইট পাথার নিক্ষেপ করে। ঘর সরাবেন না, তাই তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বেশ কিছু দিন ধরে তার আয়ের একমাত্র ব্যাবসা চায়ের দোকানেও যেতে দেয়নি ভাইয়েরা, এবং রাতে আধারে তার ঘর উঠিয়ে ফেলে দিবে বলে উল্লেখিত সবাই পরিকল্পনা চালাচ্ছেন।
উক্ত জমিতে ৬ ভাই বাড়িতে ঘর উঠিয়ে বসবাস করছেন তাদের ভিতর ছোট ভাই আখতারুজ্জামান চায়ের দোকান থেকে কোন রকম সংসার চলে তার , বাবার সম্পত্তি থেকে জমির এক কোনায় ৯ শতাংশ জায়গা নিয়ে একটি টিনের ঘর উঠিয়ে কোন রকম বসবাস করে আসছে। আখতারুজ্জামানের ঘরের ২ হাত সামনে থাকা জায়গার উপর নজর পড়ে তার বড়ো ভাই বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের। ছোট ভাইকে দীর্ঘ কিছুদিন ধরে মতিউর রহমান চাকরির ক্ষমতার বলে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিয়ে আসছেন, এবং তার স্ত্রী ও সন্তান কে নিয়ে বাপের ভিটা ছেড়ে চলে যেতে বলেন, না গেলে তাকে ইট পাথার নিক্ষেপ করে মাথা ফাটিয়ে শেষ করে দিবেন এমন আচার-আচরণ করেন মতিউর রহমান ও আমিন চৌকিদার। পরিবার সুত্রে জানা যায় মতিউর রহমান বাবার সম্পত্তি থাকা অনেক জমি পড়ে আছে, কিন্তু তার নজর পড়ে অসহায় ছোট ভাই আখতারুজ্জামান মৃধার ঘরের ভিটার উপর,অল্প কিছুদিনের মধ্যে ঘর না সরালে তাকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিয়েছেন বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা মতিউর রহমান।
আখতারুজ্জামান বলেন, আমি আমার বাপের ভিটার উপরে ছোট্ট একটা টিনের ঘর উঠিয়ে বউ বাচ্চা নিয়ে সংসার চালাচ্ছি,বেশ কিছু দিন ধরে আমার বড়ো ভাই ১নং ওয়ার্ডের আমিন চৌকিদার এর নেতৃত্বে বিমান বাহিনী কর্মকর্তা বড়ো ভাই মতিউর রহমান কে আমার ভিটা বরাবর তার বিল্ডিং ঘর উঠাতে বলেন। আমিও আমার স্ত্রী বাধা দিলে নজরুল মাষ্টার ও মতিউর রহমান, আমিন চৌকিদার আমাকে ও আমার স্ত্রী কে ধাক্কাধাক্কি করে ঘরে উঠিয়ে দেন। আমার পরিবারের শিশু সন্তান সহ কেন বাহিরে বের হলে মেরে ফেলবে এমন আচারন করেন। এখন নিরাপত্তা হিনতায় ভুগছেন ও অভিযোগর পেক্ষিত প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু বিচারের দাবি করেছেন আখতারুজ্জামান।