স্কাউটিংয়ে প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন বাংলাদেশের ঈসা মোহাম্মদ

স্কাউটিংয়ে প্রথম ডক্টরেট ডিগ্রি পেলেন বাংলাদেশের ঈসা মোহাম্মদ

নিজস্ব সংবাদদাতা : ১৯০৭ সালে স্কাউটিং আন্দোলন শুরু হয়; যা এখন বাংলাদেশে প্রায় প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালু আছে। বিশ্বব্যপী প্রচলিত স্কাউটিং আন্দোলন প্রতিষ্ঠার ১১৪ বছর পর এ বিষয়ে প্রথম ডক্টর অফ ফিলোসফি (পিএইচ.ডি.) ডিগ্রি অর্জন করে নজির স্থাপন করেন বাংলাদেশের ঈসা মোহাম্মদ।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের ১১৯ তম সভার সুপারিশক্রমে এবং ২৫০ তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্কাউটার ঈসা মোহাম্মদকে পিএইচ.ডি. ডিগ্রির অনুমোদন দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি ও প্রেস রিলিজ সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়।

পিএইচ.ডি. গবেষণা অভিসন্দর্ভের শিরোনাম “ইসলাম ও স্কাউটিংয়ে শিক্ষাদান পদ্ধতির তুলনামূলক পর্যালোচনা: পরিপ্রেক্ষিত বাংলাদেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়”। গবেষণাকর্মের তত্বাবধায়ক প্রফেসর ড. আ.ব.ম. সাইফুল ইসলাম সিদ্দীকী অধ্যাপক, আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া, বাংলাদেশ। পরিক্ষা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন- প্রফেসর ড. মোহাঃ ইউনুছ (সাবকে চেয়ারম্যান, আরবি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়)। দেশের বাইরের সদস্য ছিলেন- ভারতের আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মশিহুর রহমান।

ডক্টরঈসা মোহাম্মদ ন্যাশনাল পাবলিক কলেজ, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ। তিনি রংপুর জেলার গঙ্গাচড়া উপজেলার কিশামত হাবু গ্রামের মোঃ আব্দুল কুদ্দুস ও শামসুন্নাহার বেগমের পুত্র। তিনি ন্যাশনাল পাবলিক কলেজ, বহদ্দারহাট, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম এর প্রাক্তন অধ্যক্ষ।

বাংলাদেশের কৃতিসন্তান ডক্টর ঈসা বলেন- “মহানবী স. যুবকদের নিয়ে হিলফুল ফুযুলে সম্পৃক্ত হোন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানবতার কল্যানে যুবসমাজকে এক পতাকাতলে সমবেত করার প্রয়াস চালান।

তিনি আরো বলেন- “স্কাউটিং এর মাধ্যমে ফিজিক্যাল, ইমোশনাল, স্প্্িরচুয়াল, সোশ্যাল ও ইনটেল্যাকচুয়াল ডেভেলপ ঘটিয়ে থাকে; যা আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে অত্যন্ত প্রয়োজন। স্কাউটগণ হাতেকলমে শেখার মাধ্যমে সমৃদ্ধ এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে অসম্ভবকে জয় করতে তৎপর হয়। স্কাউটিংয়ের মাধ্যমে যথাযথ নার্সিং করলে আত্মনির্ভরশীল, পরিশ্রমী, সময় সচেতন ও দেশপ্রেমী নাগরিক তৈরী করা সম্ভব।

 

ডক্টর ঈসা তাঁর গবেষণাকর্মে সহায়তার জন্য নিজ বিভাগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, স্কাউটপ্রেমী, আপনজন ও গবেষণা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।