ময়মনসিংহ থেকে সিরাজুল হক সরকারঃ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এক ব্যাংক কর্মকর্তার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে কর্মকর্তার স্ত্রী ও কন্যাদের উপর অমানষিক নির্যাতন সহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তারই ভাই ও নিকট
আত্মীয়-স্বজনরা। কর্মকর্তার স্ত্রী পাঁচ কন্যা নিয়ে অসহায় অবস্থায় কালাতিপাত করছেন।
জানাযায়, মুক্তাগাছা উপজেলার কুমারগাতা ইউনিয়নের সত্রাশিয়া গ্রামের আবু বকর ছিদ্দিক কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ২০১৫ সালের ৯ আগষ্ট স্ত্রী ও পাঁচ কন্যা সন্তান রেখে মারা যান। দুই কন্যার বিয়ে হয়েছে। তিন কন্যা সন্তান স্কুল কলেজে লেখাপড়া করছে। ব্যাংক কর্মকর্তা আবু বকর ছিদ্দিক তার ছোট ভাই ইদ্রিস আলী লিয়াছ কে লেখাপড়াসহ তার পুলিশের এসআই এর চাকুরী পাওয়া এবং তাকে বিয়ে করানোর যাবতীয় খরচ তিনি বহন করেছিলেন। বিভিন্ন সময় তাকে আর্থিকভাবেও
সহযোগিতা করেছিলেন।
কিন্তু আবু বকর ছিদ্দিক মারা যাওয়ার তার এতিম সন্তানদের প্রতি সহানুভূতি না দেখিয়ে বরং তাদের উপর চালায় শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন। দখল করে রেখেছে ছিদ্দিকের নিজস্ব টাকায় দেওয়া ঘরের তিনটি পাকা রুম, মৎস ফিসারী, ফলজ বাগান, ভাড়া দেওয়া নিজস্ব জমির উপর এয়ারটেল টাওয়ারসহ আবু বকর ছিদ্দিকের নিজস্ব ও পৈত্রিক সম্পত্তি। এয়ারটেল কোম্পানীতে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে কোম্পানী থেকে টাওয়ার ভাড়া তুলতে বাঁধা সৃষ্টি করছে। তাছাড়া এয়ারটেল কোম্পানীর লোকজন টাওয়ারের কাজ করতে আসলে তাদেরকে কাজ করতে দিচ্ছে না। তাছাড়া ব্যাংকারের নিজস্ব বাড়ি ভিটায় তার স্ত্রী থাকার জন্য ঘর উঠাতে চাইলে সেখানেও ঘর উঠাতে বাঁধার সৃষ্টি করছে।
ব্যাংকার আবু বকর ছিদ্দিকের কন্যারা তার পিতার রুপিত ফলজ গাছের ফল পারতে গেলে তাদেরকে বাঁধা দেওয়া হচ্ছে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর তাদের জলপাই গাছে জলপাই ফল পারতে গেলে এসআইএর স্ত্রী মৌসুমী আক্তার, তার সৎ ভাই কদ্দুছ ও তার স্ত্রী আসমা সহ সকলে মিলে ব্যাংকারের কন্যা রাজিয়াকে ব্যাপক মারধর করে গুরুত্বর আহত করে।
পরবর্তীতে তাকে মুক্তাগাছা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এসব বিষয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী কামরুন্নাহার পপি থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে এসআই ইদ্রিস আলী ইলিয়াছের স্ত্রী মৌসুমী আক্তার সহ তার আত্মীয় স্বজনরা পুলিশের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।
সোমবার সকালে পুনরায় এসআই চাচা নিজেই ভাতিজি রাজিয়া সুলতানাকে মাথার চুলধরে টেনে হিচঁড়ে ব্যপক মারধর করে। ঘরের ভিতরে প্রবেশ করে ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে ও হুমকি দিয়ে আসে। এছাড়াও বাড়ির দুইটি গেইট ভেঙ্গে ফেলে। বর্তমানে বাড়িটি অরক্ষিত অবস্থায় আছে।
ব্যাংক কর্মকর্তার কন্যা রাজিয়া সুলতানা বলেন, আমার পিতা চাকুরী করে চাচা ইদ্রিস আলী ইলিয়াছ কে লেখাপড়া করান। চাকুরীর ব্যবস্থা করেন এবং তার বিয়ের যাবতীয় খরচাদী বহন সহ আর্থিকভাবেও সহযোগিতা করে গেছেন। অথচ আমার পিতার মৃত্যুর পর আমার চাচা আমাদের মা ও পাঁচ বোনের সম্পত্তিগ্রাস করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করছে। শুধু তাই নয় আমাদের উপর হামলা ও বিভিন্নভাবে হয়রানী করছে এবং অশ্লীল ভাষায় কথা বলছে। যে কোন সময় আমাদের পরিবারের লোকজনদের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। এ ব্যাপারে ব্যাংকারের স্ত্রী ও কন্যারা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।