নিজেস্ব সংবাদদাতাঃ মতলব দক্ষিন উপজেলার পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের বাইশপুর গ্রামের মৃত আব্দুল আওয়াল সরকারের ছেলে সোহেল সরকার কে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক প্যানেল মেয়র আবুল বাসার পারভেজ মুঠোফোনে জরুরি মতলব মাছ বাজার সংলগ্ন একটি দোকানে আসার জন্য বলেন।ওয়ার্ড কাউন্সিলর তলবে সোহেল সরকার ও চাচাতো ভাই মাসুম সরকারকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছানোর সাথে সাথে পুর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আনোয়ার সরকার, বাবুল মিয়াজি,কালাম মিয়াজি সহ বেশ কয়েক জন, সোহেল কে কোন রকম কথা বলার সুযোগ না দিয়ে, অতর্কিত ভাবে ভুমি দস্যু চক্রটি বেদরক ও অমানবিক মারধর শুরু করে।
কাউন্সিলর আবুল বাসার পারভেজ মিয়াজি কিছু বুঝে উঠার আগেই, থানার দালাল, ভুমি দস্যু চক্রটি এ জগন্য হামলা করে, এক পর্যায়ে কাউন্সিলর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কাউন্সিলরের মাধ্যমে মামলার বাদীকে ডেকে এনে এ ঘৃণ্যবর্বরোচিত ও অনাকাঙ্ক্ষিত আচরনে কাউন্সিলর দুঃখ প্রকাশ করেন। প্রকাশ্যে কাউন্সিলরের ও জন সম্মুখে এহেন ঘৃন্য ঘটনা কারী মামলার বিবাদী আওয়ামী নেতা পরিচয় দানকারী ভূমিদস্যু ও থানার দালাল, মামলার বাদী সোহেল কে উল্টো কালাম মিজির কাছে ক্ষমা চাওয়ার জন্য বলেন।
সোহেলকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাৎক্ষনিক সাথে থাকা মাছুম সরকার চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান,পরে রোগীর অবস্থার অবনতি হলে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয়সুত্রে যানা যায় জায়গা সম্পত্তি নিয়ে আনোয়ার সরকার ও কালা মিজান ওরপে টেরা মিজান বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা করায়, সোহেল সরকার হামলার স্বীকার হন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা মাছুম সরকার গনমাধ্যমকে জানান আমাদের সাথে আনোয়ার সরকার গং দের সাথে দীর্ঘদিন সম্পত্তি গত বিষয়ে বিরোধ চলছে। আমাদের ৯৭১ নাম্বার দলিলের ৪০ শতক, ১১৪,১৮৩,১৪,৯৩৭ নাম্বার সি এস এর জায়গা কাউকে হিস্রা অনুযায়ী বুঝিয়ে না দিয়ে একাই ভোগদখল করছেন ।
সম্পত্তির হিস্যা চাওয়াতে ভূমি দস্যু চক্রটি, কিছু প্রভাবশালী মহলের মাধ্যমে, দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা মামলা ও মৃত্যুর হুমকি দিয়ে আসছে। সন্ত্রাস প্রকৃতির চক্রটির ভয়ে, জীবনের নিরাপত্তার জন্য কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাকে কেন্দ্র করে সংঘবদ্ধ চক্রটি প্রকাশ্যে জনসম্মুখে সন্ত্রাসী হামলা, এদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে অতিষ্ঠ এলাকাবাসীর কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস করেনা, আর যদি কেউ প্রতিবাদ করার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে মাদক, চাঁদাবাজি, ধর্ষণের মত বিভিন্ন হয়রানি মুলক মিথ্যা মামলা হামলার স্বীকার হতে হয়।
ঘটনা কালিন সময় পাশে থাকা রুহুল আমিন সরকার, পিন্টু মিয়াজী, নাজির প্রধান, গোলাম হোসেন সরকার এবং মাছ ব্যবসায়ী ও উপস্থিত জনতা ঘটনাটি দেখতে পান, কিন্তু ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পাননি। তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন গন মাধ্যম এবং প্রশাসনিক উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন ও সহযোগিতা কামনা করছি। সুস্থ তদন্তে এদের বিভিন্ন অপকর্ম ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও অবৈধ সম্পদের তথ্য অনুসন্ধান করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে সাধারন নিরীহ মানুষের সস্তি ও আইনের প্রতি আরো শ্রদ্ধাশীল ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করার অনুরোধে স্থানীয় এলাকাবাসী।