পর্যটন ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে

॥রুপান্তর বাংলা রিয়াজ ॥ দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারনে পর্যটন ব্যবসায় ধস নামতে শুরু করেছে বলে জানান ব্যবসায় সংশ্লিষ্টরা।জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে বেড়েছে পরিবহণ ভাড়া ও অন্যান্য দ্রব্যমূল্য।
জানা গেছে, গত ৬ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থেকে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান কুয়াকাটা, সিলেটে তুলনামূলক পর্যটক কমেছে। পর্যটক কম আসায় আবাসিক হোটেল, রেস্টুরেন্ট, টুরিস্ট বোট, অটোরিক্সা, উপজাতীয় বস্ত্র বিতানসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে।
ব্যবসায়ীদের মতে পরিবহণ ভাড়া এবং মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়ভার বেড়ে যাওয়ায় মানুষ এখন ভ্রমনে তেমন একটা আগ্রহী হচ্ছে না। প্রতিদিন তুলনামূলক পর্যটক কমছে। এর ফলে পর্যটক নির্ভর ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছেন।
কক্সবাজার থেকে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কুয়াকাটায় মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন, সিলেট থেকে মোঃ সোহাগ মিয়া, বান্দরবান থেকে উচাপ্রু মারমা খাগড়াছড়ি থেকে নজরুল ইসলাম টিটু ও
রাঙ্গামাটির আবাসিক হোটেল মালিক নেছার আহমেদ জানান, জ্বালানী তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পর থকে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। প্রতিদিন হোটেলের সিট খালি যাচ্ছে। এতে হোটেল পরিচালনা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
রাঙ্গামাটি শহরের তবলছড়ি এলাকায় উপজাতীয় টেক্সাটাইল মার্কেটের বিপনন কর্মীরা সাংবাদিক কে জানান, গত দুই সপ্তাহ থেকে পর্যটক কম দেখা যাচ্ছে। কমেছে তাদের বিক্রি। একই দশা সিএনজি অটোরিক্সা ও টুরিস্ট বোট চালকদের। সারা দিন পর্যটকের অপেক্ষায় থাকার পরও কাঙ্খিত ভাড়া পাচ্ছে না টুরিস্ট বোট ও অটোরিক্সা চালকরা। এ খাতের শ্রমিকরা হিমশিন খাচ্ছেন জীবন জীবিকা নিয়ে। টুরিস্ট বোট মালিক সমিতি জানান, করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর পর্যটন ব্যবসা ঘুরে দাঁড়াবে এমন প্রত্যাশা করা হলেও দ্রব্যমূল্য ও জ্বালানী তেলের দাম বাড়ায় আবারো ধ্বসের মুখে পড়েছে পর্যটন ব্যবসা। এছাড়াও দেশের পর্যটন খাতে পর্যাপ্ত উন্নয়ন না হওয়ায় পর্যটক আরো কমে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা। এ পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশের পর্যটন ব্যবসায় আরো ভয়াবহ ধ্বস নামার আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা।
পর্যটন ব্যবসায় সংকট মোকাবেলায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়সহ সরকারকে জরুরী পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন অভিজ্ঞ মহল। স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ ও পর্যটন খাতে সরকারের ভর্তূকি বাড়ানোর পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
কয়েকজন হোটেল জানান, শুধুমাত্র জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে নয় বর্তমানে স্কুল-কলেজ খোলা থাকায় আর গরমের কারণে আগের তুলনায় কিছুটা কম আসছে পর্যটক। শীত মৌসুমে পর্যটক বাড়বে বলে আশা করেন।