স্কুল শিক্ষিকাকে গণধর্ষণ: মামলার প্রধান আসামীসহ আটক-৩

কক্সবাজারে আলোচিত একটি স্কুল শিক্ষিকাকে গণধর্ষণের দায়ের করা মামলার প্রধানসহ ৩ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে র্যাব এর সদস্যরা। বুধবার সকাল ১১টায় র্যাব-১৫ এর সদর দপ্তরের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান র্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার(এএসপি) নিত্যানন্দ দাশ।
জানা যায় গত ১৮ই আগস্ট রাতে কক্সবাজার সদরের পিএমখালীর মালিপাড়া থেকে ওই নারী তার এক ভাগ্নীর মেহেদী অনুষ্ঠানে যান। সেখানে বেদার মিয়া নামের একজনের সঙ্গে কথা-পরিচয় হয়। পরদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওই স্বজনের বাড়ি থেকে ব্যাটারি-চালিত টমটম করে নিজ বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় এলে বেদার ও তার সহযোগীরা তাকে আরেকটি টমটমে তুলে নেয় এবং বাংলাবাজার সংলগ্ন চান্দের পাড়ার এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনের ৫ম তলায় নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে তারা তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন।
শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটলেও সদর মডেল থানায় মামলা হয় সোমবার রাত ১২টার দিকে।ভোক্তভোগী ঐ শিক্ষিকা মামলায় সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ইউনূছঘোনা এলাকার ২৮ বছর বয়সী বেদার মিয়াসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও তিনজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে র্যাব এর নজরে আসে। এর পরপরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে র্যাব এর গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে গতকাল ২৩ই আগস্ট সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিটের সময় আটক করতে সক্ষম হয়।
আটকৃতরা হলে মামলার প্রধান আসামী কক্সবাজার সদরের পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া (২৮),একই ইউনিয়নের তারানিয়াপাড়ার দীল মোহাম্মদ এর ছেলে মোস্তাক মিয়া (২৪) এবং সদরের খরুলিয়া এলাকার মৃত রশিদ আহমেদের ছেলে বেলাল উদ্দিন(২২)। এছাড়া আরও একজন অজ্ঞাতনামা আসামী পলাতক আছে এবং তাকেও গ্রেফতারের লক্ষ্যে কাজ করছে র্যাব-১৫ এর সদস্যরা।
্যাব এর পক্ষ থেকে আরও জানানো হয় যে উক্ত আসামীদের বিরুদ্ধে পূর্বের মামলা মোতাবেক কক্সবাজার সদর থানায় হস্তান্তর করা হবে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।