কুমিল্লার মহানগরীর কোটবাড়ী রোডের চাঙ্গেনী এলাকায় ২৩ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন ও তার ভাইদের হামলায় আক্তার হোসেন (৬০) নামে এক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। হামলায় ওই ব্যবসায়ীর ভাইসহ আরও ৫-৬ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১০ জুলাই) জুমার নামাজ শেষে চাঙ্গেনী মোড় এলাকায় কাউন্সিলরের বাড়ির পাশে মসজিদের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওই ব্যবসায়ী ২৩ ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলালের বড় ভাই ও চাঙ্গেনী এলাকার মৃত আলী হোসেনের ছেলে। এ ঘটনায় কাউন্সিলরের তিন ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত ওই ব্যবসায়ীর পরিবার এবং কাউন্সিলর আলমগীর হোসেন পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই পরিবারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এছাড়াও সম্প্রতি এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে নিহতের ছোট ভাই যুবলীগ নেতা আলাল ও কাউন্সিলর আলমগীরের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে এলাকায় ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় কাউন্সিলর আলমগীরকে নিমন্ত্রণ না করায় তিনি ক্ষিপ্ত হন। এ নিয়ে সকাল থেকেই উভয় পরিবারের লোকজনের মাঝে বাগবিতণ্ডা হয়।
আহত যুবলীগ নেতা আলাল বলেন, ঘুড়ি উৎসবে আমন্ত্রণ না পেয়ে এবং পূর্ব বিরোধের জের ধরে এ হামলা চালানো হয়েছে। জুমার নামাজ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে লোহার রড ও লাঠি নিয়ে মসজিদের বারান্দাতেই আলমগীর কমিশনারের নেতৃত্বে তার তিন ভাইসহ অন্যান্যরা আমাদের ওপর হামলা করে। পরে আমরা দৌড়ে মসজিদের সামনে গেলে সেখানেও আমাকে ও আমার বড় ভাই ব্যবসায়ী আক্তার হোসেনের ওপর হামলা করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, ওই ব্যবসায়ীর মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলর পলাতক রয়েছেন। তবে তার ভাই আমির, জাহাঙ্গীর ও বিল্লালকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
