দেবহাটা, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ঃ সাতক্ষীর্য়া জলদস্যুতায় সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সাতক্ষীরা জেলাপুলিশের অভিযানে দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়নের খেজুরবাড়িয়া গ্রামের মহিউদ্দীন গাজীর পুত্র হুন্ডি আলাউদ্দীন গাজী সহ সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর এলাকায় আব্দুল হাকিম গাজীর ছেলে তৈবুর রহমান (কামরান) ও একেই এলাকার মৃত শওকত আলির ছেলে রহমান এন্টার প্রাইচের মালিক সাইদুর রহমান (সাঈদ) কে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া যায়।
ঘটনার বিবরনে জানাযায় সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের কালিন্দি নদীতে মাছ ধরার সময় শ্যামনাগর উপজেলা টেংরাখালী গ্রামের এশার আলী গাজী ও পার্শ্বেখালি গ্রামের আজিজার রহমান সহ ৮/৯ জন জেলেকে মুক্তিপনের দাবীতে অপহরণ করা হয়।
এঘটনায় যারা পালাতক রয়েছে বাংলাদেশী নাগরিক প্রদীপ পাটকেলঘাটা থানার কুমিরা এলাকার মুঠিন দাস এবং ভারতের বসিরহাট ত্রি মহনি এলাকার আক্তার আলম গাজী, পান্ন, বাপ্পি ও ঘোজাডাঙ্গা এরাকার হাসার ইন্টার প্রাইজের মালিক নুনু ও যাদের সংশ্লিষ্টা থাকর কথা শোনা যাচ্ছে দেবহাটা উপজেলার সখিপুর গ্রামের মৃত রবিন্দ্র নাথ মন্ডের ছেলে সুধীর মন্ডল ওরফে ধোনা, তিনি জনপ্রিয় ট্রেডিং ট্রেডার্স এর মালিক। ও একই এলাকার কাশেম গাজীর পুত্র আশরাফ আলী গাজী ছাড়া ও আরও অনেকে। এরা জলদস্যুদের সাথে সংঘবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবন এলাকায় জেলেদের অপহরণ করে মুক্তিপনের টাকা আদায় সহ নানা ভাবে নির্যাতন চালিয়ে থাকে। এবং তাদের অর্জিত অবৈধ্য অর্থ ভারতে পাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সখিপুর মেইন সড়কের ধারে ধৃত আলউদ্দীনের বিলাস বহূল আলিসান অট্টলিকার সাথে তারই সহচর ধোনা ও আশরাফুলের বিলাস বহুর বাড়ি পরিলক্ষিত হয়। স্থানিয়দের জিজ্ঞাসা এই বাড়ি নির্মানের অর্থের যোগানের উৎস কোথায়? এ নিয়ে গয়েন্দা পুলিশের বিশেষ টিম পর্যবেক্ষনে আছেন বলে এক সূত্রে জানা যায়। এদিকে গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে সাইদুর রহমান সাইদ, অপহৃত এশার আলী ও এই মামলার স্বাক্ষী সৈয়দ হারিজ হোসেন তুহিন ইতিমধ্যে আদালতে ১৮ নং
মামলাটিতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দী প্রদান করেন। দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়।