ময়মনসিংহ প্রতিনিধি– টিনের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে প্রথমে তছনছ করা হয়। এর পর সেই বাড়ির টিনের বেড়া দিয়েই বাড়িটি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে শফিকুল ইসলাম ও তার লোকজেনর বিরুদ্ধে। শফিকুলের নেতৃত্বে ৫০ /৬০ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল দেশীয় অস্ত্রসহ এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি ও জনমনে ভয়ভীতি সঞ্চার করে বাড়িটি দখল করে। বাঁধা দিতে গেলে বাড়ির মালিকের স্ত্রীকে পিটিয়ে বাড়ি ছাড়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে তাদের বিরুদ্ধে। বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে অসহায় এ পরিবাররটি। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার মুক্তাগাছা শহরের ইশ^রগ্রাম এলাকায়। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে মুক্তাগাছা থানায় মামলা হয়েছে।
থানা পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা যায়,ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার খেরুয়াজানি ইউনিয়নের বানিয়াবাড়ি এলাকার বাসিন্দা সোলেমান মিয়া ২০০৬ সালে মুক্তাগাছা শহরের ইশ্বর গ্রাম এলাকায় সাবকাওলামূলে ৩ শতাংশ জমি কিনেন। সেখানে বাড়ি করে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছিলেন সোলেমান ও তার স্ত্রী সন্তানরা। সোলেমান মিয়া পেশায় একজন অটোরিকশা চালক। অটোরিকশা চালতে ঢাকায় বসবাস করেন তিনি। আর স্ত্রী সন্তান বসবাস করেন এ বাড়িতে। সোলেমান মিয়া বাড়িতে না থাকার সুযোগে প্রতিবেশি শফিকুল ইসলামের চোখ পড়ে এ জমিটি দখলে নেওয়ার। দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে এ বাড়িটি দখলের নেওয়ার চেষ্টা করে আসছেন শফিকুল ও তার লোকজন। বৃস্পতিবার সকালে শফিকুল ও তার বাহিনী অতর্কিত সোলেমান মিয়ার স্ত্রী সন্তানকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে বাড়িটি দখলে নিয়ে নেন। সোলেমানের ঘরের টিনের বেড়া দিয়েই বাড়িটি দখলে নেওয়া হয়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে সোলেমানের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসকে পিটিয়ে আহত করে তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। ঘটনার সময় বাড়িতে থাকা সকল মালামালও লুটে নেয় শফিকুলের লোকজন। বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছেন এ পরিবারটি। সেখানেও তাদেরকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে এ পরিবারটিকে।
এ ঘটনায় সোলেমানের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের ভাষ্য, তারা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে এ জমিটি কিনে বসবাস করে আসছিলেন। তার স্বামী ঢাকায় বসবাস করেন। এ সুযোগে প্রতিবেশি শফিকুল ও তার লোকজন তাদের বাড়িটি দখলে নিয়ে যায়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে তাদেরকে পিটিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় তাদের বাড়ির সকল মালামাল লুটে নেয় শফিকুল ও তার লোকজন। এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে অভিযোগ এই নারীর।
শুক্রবার ওই বাড়িতে গিয়ে শফিকুল ও তার পরিবারের কোনো সদস্যকে পাওয়া যায়নি। শফিকুলের সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার ওসি আব্দুল মজিদ বলেন, বাড়ি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
