জীবন যুদ্ধে হার মানেনি প্রতিবন্ধী এনামুল। 

ময়মনসিংহ সংবাদদাতা — জীবন যুদ্ধে হার  মানেনি  প্রতিবন্ধী এনামুল।  জন্মের ১৭/১৮ মাস পর পোলিও আক্রান্ত হয়ে দু’পা অবস হয়ে যায় । শরীরের অঙ্গপতঙ্গ স্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি হলেও দু’পা বাড়েনি।ছোট সরু দু’পা নিয়ে চলতে থাকে এনামুল। বর্তমানে এনামুল হকের বয়স ৪২বছর।প্রতিবন্ধী  এনামুল হক জানান. সে প্রতিবন্ধী  ভাতা সুবিধাভোগী। তার প্রতিবন্ধী  কার্ড রয়েছে। স্তী ও ২ পুত্র সন্তান নিয়ে  ৪ সদস্যের সংসার। তার বাবার বসত বাড়ি ছাড়া জমিজমা নেই।  তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে এনামুল প্রতিবন্ধী। দরিদ্র প্রতিবন্ধী  এনামুল হকের বড় ছেলে হাসান (১৪) লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। ছেট ছেলে হোসেন (১০) স্থানীয় মাদরাসা হাফেজি বিভাগে লেখাপড়া করে। দরিদ্র প্রতিবন্ধী মোঃ
এনামুল হকের বাড়ি ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার কাকনী ইউনিয়নের  বাঁশতলা গ্রামে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়  এনামুল হকের সাথে কথা হয় তার দোকানে। কাকনী-রাজদারিকেল এলজিইডির পাকা সড়ক পথে আসার কালে কাকনী ইউনিয়নের বাঁশতলা খালের ব্রীজের  পাশে  সাবেক ইউপি সদস্য মেঃ আতাউল হকের সাথে দেখা।  সে চা পানের আবদার করলে এনামুল হকের দেকানের সামনে লম্ভা কাঠের টেবিলে বসা। চা বানানের সময় চেখ পড়ে এনামুলের প্রতি। এনামুল একজন প্রতিবন্ধী।  এ বিষয়ে কথা হয় তার সাথে। সে জানান. দীর্ঘদিন স্ব পরিবারে ঢাকা শহরে  ছিল। ঢাকা শহরে থাকার পর ১৫/২০হাজার টাকা আয় হলে গ্রামে চলে আসে। পরে বাড়ির পাশে সড়কের দ্বারে একটি টং দোকান গড়ে তুলে।
বাশঁতলা গ্রামের মোঃ আলাল উদ্দিন মন্ডলের পুত্র প্রতিবন্ধী  এনামুল হক মন্ডল জানান.স্থানীয় ব্র্যাক স্কুলে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। তার ৪ সদস্যের পরিবারের বরনপোষন দোকানের আায়ে চলে। প্রতিদিন ২/৩ হাজার টাকা বেচাকেনা হয়।হুইল চেয়ারে বাড়ি থেকে দোকান পর্যন্ত যাতায়ত তার। দোকানের  মালামাল বড় ছেলে ক্রয় করেন। আবার অনেক কোম্পানীর মাল এস.আর দোকানে দিয়ে যায়। গ্রামীন পথের দ্ধারে ছোট দোকানের আয়ে সংসার চালাতে কষ্ট হয় এনামুলের। তিনি জানান. ৫ হাজার টাকা  জমা দিয়ে ৪মাসের কিস্তিতে একটি ফ্রীজ এনেছেন।  অর্থ সংকটে দোকানে ঠিকমত মালামাল উঠাতে পারছেনা। সংসারের চাহিদা পূরণ করতে কষ্ট হচ্ছ।ছোট ছেলের মাদরাসার  ৫ মাসের বেতন বন্ধ রয়েছে।  প্রতিবন্ধী  এনামুল ভিক্ষা নয়.৷ ব্যবসা করে জীবন যদ্ধ করে চায়। তার কিছু অর্থের ও নলকুপের প্রয়োজন।নলকুপের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করেছেন। এটা হলে তার চাহিদা অনেকটাই মিটে যায়।