ময়মনসিংহে ব্র্যাকের উদ্যোগে বয়:সন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষার উপর কর্মশালা

ময়মনসিংহ থেকে সিরাজুল হক সরকার: গত ০৯ মে ২০২৩ ইং ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনী সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় “অধিকার এখানে এখনই (জঐজঘ২)“ প্রকল্প কর্তৃক আয়োজিত কিশোর কিশোরী ও যুবদের জন্য যৌন শিক্ষা ও প্রজনন স্বাস্থ্য’ এবং অধিকার নিশ্চিত করে যুব বান্ধব যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য’ সেবায় সবার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রকল্পের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে কাজের ধারাবাহিকতায় জেন্ডার বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীর প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন ও সামাজিক অর্ন্তভুক্তিকরনে এবং কিশোর কিশোরীদের বয়:সন্ধিকালীন স্বাস্থ্য’ শিক্ষা নিশ্চিতকরনে ধর্মীয় নেতার ভূমিকা শীর্ষক একটি কর্মশালায় জেলা ব্র্যাক সমন্বয়কারী মোহা: জাহাঙ্গীর আলম এর সভাপতিত্বে ব্র্যাক লার্নিং সেন্টার (বিএলসি), চরকালীবাড়ী, শম্ভুগঞ্জ (টোলপ্লাজা সংলগ্ন ), ময়মনসিংহ কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মুসলিম ধর্ম বিশেষজ্ঞ ময়মনসিংহ বড়বিলা মাদ্রাসা সুপার মৌওলানা আব্দুর রাজ্জাক সহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, হিন্দু ধর্ম বিশেষজ্ঞ কৃষি বিশ^বিদ্যালয় মন্দিরের পুরোহিত শ্রী পরিতোষ কুমার রায় সহ বিভিন্ন মন্দিরের পুরোহিত, ময়মনসিংহ চরপাড়া চার্চের ফাদার বেঞ্জামিন গোমেজ সহ বিভিন্ন চার্চের ধর্মীয় নেতারা।
উপস্থিত ছিলেন এবং ট্রান্সজেন্ডার লিডার সন্ধ্যা হিজড়া, আশা হিজড়া, টান্সজেন্ডার ইয়ুথ সদস্যসহ ইয়ুথ গ্রæপের অন্যান্যসদস্যরা অংশ গ্রহন করেন। মো: জিল্লুর রহমান সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মো: জাহাঙ্গীর আলম, জেলা সমন্বয়কারী, ব্র্যাক,ময়মনসিংহ।
প্রকল্পর পরিচিতি ও ধর্মীয় নেতাদের সাথে সভার উদ্দেশ্য ও বিভিন্ন ধর্মে ট্রান্সজেন্ডার সম্বন্ধে সংক্ষিপ্ত আলোচনা মো: জিল্লুর রহমান এর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টশনের মাধ্যমে কর্মশালা শুরু হয়। সভায় ট্রান্সজেন্ডার নেতা আশা হিজড়া তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে, ট্রান্সজেন্ডার হওয়ার কারণে আমরা স্বাভাবিকভাবে সেবা নিতে পারি না। হাসপাতাল থেকে জেন্ডারগত কারণে আমাদের সেবা পাওয়া দুস্কর হয়ে পড়ে। মসজিদে যেয়ে ধর্মীয় রীতিনীতি পালন করতে গেলে মসজিদ থেকে বলা হয় আপনারা আসবেন না। পরিবার অন্যান্য ভাই বোনদের ভবিষ্যত ভেবে আমাদেরকে বাড়ীতে রাখে না। আবার কেউ কাজও দিতে চায় না।
ধর্মীয় নেতারা তাদের বক্তব্যে সমস্যা সমাধানের জন্য কাজ করবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। বিভিন্ন ধর্মীয় আলোচনায় এই বিষয় গুলো নিয়ে কথা বলবেন। সকলে মিলে সমাজকে সুন্দর করতে কাজ করা হবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বয়:সন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষার সাথে সংযুক্ত পাঠটি যাতে পাঠদান হয় সেজন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও উল্লেখ করেন।
মুক্ত আলোচনায় আসা বিাভিন্ন বক্তব্যর সার সংক্ষেপ তুলে ধরে মো: মাসুদুর রহমান, বলেন যে, সমস্যা সমাধানে আমাদের সকলকে নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে। ধর্মীয় বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের সমাজের মানুষ সবসময় শ্রদ্ধার সাথে দেখেন। সুতরাং তাদেরকে বেশি করে জেন্ডার বৈচিত্রময় জনগোষ্ঠীকে সামাজিক কত্রিকরণের ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বয়:সন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা পাঠদানে উদ্যোগ নিতে হবে। তাহলেই বৈষম্য মুক্ত এবং সুন্দর একটি সমাজ ও দেশ গড়ে উঠবে। সংবাদ প্রেসবিজ্ঞপ্তির।