রংপুরে ধর্ষণ মামলার রায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

রংপুরের পীরগাছা এলাকায় ১৩ বছর আগে কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে আদালত ধর্ষণে জন্ম নেয়া শিশুর সামাজিক স্বীকৃতি দেন এবং দোষী ব্যক্তিকে শিশুর ব্যয়ভার বহন করতে বলেন।

রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. রোকোনুজ্জামান সোমবার দুপুরে আসামি মো. শফিকুল ইসলামের উপস্থতিতে এই রায় দেন।

ট্রাইব্যুনালের সরকারি আইনজীবী জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন বলেন, শিশু সন্তান শফিকুলের সম্পত্তির উত্তরাধিকার হবে। ‌শফিকুলকে ১ লাখ টাকা জরিমানাও করেছেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর পীরগাছা উপজেলার ওই নারীকে একই গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে আসামি শফিকুল ইসলাম বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে। এতে মেয়েটি গর্ভবতী হলে আসামি শফিকুল তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করার জন্য চাপ দেয়। এই ঘটনায় নির্যাতিতা রংপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পিটিশন মামলা দায়ের করে। আদালত মেয়েটির গর্ভে জন্ম নেয়া শিশুটির পিতৃপরিচয় নিশ্চিত করতে আদালতের নির্দেশে উভয়ের ডিএনএ পরীক্ষা করা হলে গর্ভজাত শিশু ডিএনএ টেষ্টে শিশুটি আসামি শফিকুলের বলে প্রমাণিত হয়।

তদন্ত শেষে পুলিশ শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়। জন্ম নেয়া শিশু ও শফিকুলের ডিএনএ পরীক্ষা করা হয়। দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ১৩ বছর পর আজ আদালত রায় দেন।