হত্যার ৪ বছর পর খুন হওয়া নাজমুল নামে এক যুবককে জীবত উদ্ধার করেছে ময়মনসিংহের
মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। সোমবার বিকেলে মুক্তাগাছার শুশুতি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে
উদ্ধার করা হয়। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাজমুল হোসেনকে গুমের পর খুন হয়েছে, এমন
বিবরণ উল্লেখ করে মামলা করা হয় ময়মনসিংহ আদালতে। এ মামলায় আসামীরা দীর্ঘ ৪ বছর ধরে
পালিয়ে বেড়ায়। অবশেষে গ্রেফতারের পর জানা যায় নাজমুলকে হত্যা করা হয়নি বরং তাকে
লুকিয়ে রেখে আসামীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছিল।
থানা পুলিশ জানায়, মুক্তাগাছা উপজেলার গোদাপাড়া গ্রামের মোতালের মেয়ে নুরুন্নাহারের
২০১৫ সালে বিয়ে হয় পাশাপাশি শুশুতি গ্রামরে আব্দুল জলিলের ছেলে নাজমুল হোসেনের সাথে।
তাদের ঘরে ২ মাসের ছেলে সন্তানও ছিল। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় ২০১৭ সালের সেপ্টম্বরর মাসে স্ত্রী
নুরুন্নাহারের মুখের দাঁত ভেঙ্গে দেয় নাজমুল। স্ত্রীর মামলা থেকে রেহাই পেতে নাজমুলকে
লুকিয়ে রাখে তার বাবা আব্দুল জলিল। এর পর নুরুন্নাহারের বাবা মোতালেব হোসেন, বড় ভাই
মোশাররফ হোসেন ও তার চাচা হাকিম মৃধার নামে ময়মনসিংহ আদালতে মামলা করেন নাজমুলের
বাবা আব্দুল জলিল। মামলার বিবরণে লেখা হয় নাজমুলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার পর তার
লাশ গুম করা হয়। মামলার পর থেকে আসামীরা গ্রেফতারের ভয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়ায়। এর
কয়েকদিন পর স্ত্রী নৃুরুন্নাহারও স্বামী নাজমুল ও তার বাবা আব্দুল জলিলের নামে আদালতে মামলা
করেন। এ ঘটনার দীর্ঘ ৪ বছর পর নাজমুল হোসেনকে জীবত উদ্ধার করেন মুক্তাগাছা থানা পুলিশ।
মামলার আসামী নুরুন্নাহারের বড় ভাই মোশাররফ হোসেন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে হত্যা ও গুমের
মামলা দিয়ে তাদেরকে দীর্ঘ ৪ বছর হয়রানি করা হয়। তারা গ্রেফতার এড়াতে বাড়ি ছেড়ে
পালিয়ে বেড়ায়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মুক্তাগাছা থানার ওসি মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ বলেন, উদ্ধারকৃত
নাজমুলকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন এলাকায় লুকিয়ে রাখা হয়।সম্প্রতি নাজমুল তার বাড়িতে অবস্থান
করছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে জীবত অবস্থায় উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হয়। তিনি আরও বলেন, গুম ও হত্যা মামলা দিয়ে একটি
পরিবারকে দীর্ঘদিন হয়রানি করা হয়।
