রিয়াজুল ইসলাম (আলম) সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলায় ৩ নম্বর ইউনিয়নে জন্ম নিবন্ধন দেয়ার নামে চাঁদাবাজি করছে বলে জানা গেছে।কম্পিউটারে কর্মরত মামুন ও চকিদার ফারুক হোসেন এই দুজনে মিলে বিভিন্ন কৌশলে ইউনিয়ন পরিষদে জন্ম নিবন্ধন সহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে বিভিন্নভাবে হারিয়ানি সহ চাঁদাবাজি করছে বলে অভিযোগ করেছেন ইউনিয়ন বাসী।
জন্ম নিবন্ধন নিতে সরকারি নির্ধারিত ফি ছাড়া নেওয়ার নিয়ম না থাকলেও বিভিন্ন অজুহাতে দীর্ঘদিন যাবত এভাবে মামুন ও ফারুক চাঁদাবাজি করে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের একজন চৌকিদার বলেন, জন্ম নিবন্ধন নিতে আশা প্রত্যেক ব্যক্তির কাছ একশো টাকা নিচ্ছে মামুন ও ফারুক। কেন নিচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের ওই চকিদারের কাছে জানতে চাইলে, সে বলেন ফারুক ও মামুন ওদের ইচ্ছামত এই কাজটি করে যাচ্ছে।
ইউনিয়ন পরিষদের কর্মরত চকিদার আরো বলেন,তাদের বাড়তি কোনো বেতন নেই তাই একশো করে টাকা নিচ্ছে এরকম ইউ অযুহাত দিচ্ছে কম্পিউটারে কর্মরত মামুন ও সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার ফারুক। চৌকিদারফারুক।ইউনিয়নের জনসাধারণ আরো অভিযোগ করে বলেন, টাকা দিলে সার্ভার খোলা পাওয়া যায় আর টাকা না দিলে মামুন বলেন সার্ভার এখন বন্ধ এখন জন্মনিবন্ধনের কোন কাজ করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ফারুক হোসেন রতন এ বিষয়ে অবগত আছেন। উপজেলা নির্বাহি অফিসার তাসলিমা আক্তার কে জানানো হলোও এখনো পর্যন্ত কোনো রকম আইনি ব্যবস্থা নেয়া হয় নাই। সরকার ডিজিটাল সেবা চালু করেছেন ইউনিয়ন বাসীর উপকারের জন্য, কিন্তু ইউনিয়নের কতিপয় অসাধু ব্যক্তি এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে জনগণের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে অর্থ।
জন্ম নিবন্ধন নিতে আসা ইউনিয়নের সাধারন মানুষ কাছে যখন মামুন ও ফারুক অর্থ দাবি করে তখন জনগণ সরকারের রিসিভ চাইলে দেয়া যাবে না বলে দুর্ব্যবহার করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বার করে দেন। যেহেতু জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজন তাই সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে মামুন ফারুককে অর্থ দিয়ে তাদের জন্ম নিবন্ধন নিতে হয়।
জন্ম নিবন্ধন সনদ নিতে যাওয়া রেদওয়ান ইসলাম বলেন(১৭) আমার কাছ থেকে একশত টাকা নিছে, আমি সরকারি জব চাইলে কম্পিউটারের কর্মরত মামুন বলেন রিসিভ দেয়া যাবে না। ৩ নম্বর সখিপুর ইউনিয়ন বাসী, কম্পিউটারে কর্মরত মামুন ও তিন নম্বর ইউনিয়নের চকিদার ফারুক কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন বাসী এলাকাবাসীর দূরত্ব প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।