গৌরীপুরপ্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের গৌরীপুরে কারেন্ট জাল দিয়ে নদী,নালা,ডোবা ও বিল থেকে নির্বিচারে দেশীয় প্রজাতির মাছ নিধঁন চলছে। হাটবাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্টজাল । এতে বিলুপ্ত হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির মাছের বংশ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক্ষুনি ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। জানা গেছে,গৌরীপুর উপজেলার সর্বত্র গত কয়েকদিন থেকে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে করে খালবিল,নদী-নালা,পুকুর ডোবা পানিতে ভরে গেছে।
দেশী প্রজাতির মাছ বিশেষ করে কই, পুটি, টেংড়া, মাগুর, শিং, টাকি, শৈল, চিংড়ি, মাছ ব্যাপকভাবে ধরা পড়ছে। অনেকে প্রকাশ্যে কারেন্ট জাল দিয়ে এসব মাছ ধরছে। কিছু মানুষ বিল,নদী-নাল ও খালে বিলে নিষিদ্ধ ঘোষিত কারেন্ট জাল দিয়ে ছোট আকারের এসব মাছ ধরছে অবাধে। ১৬ জুলাই বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের পাছেরকান্দা ও কোনাপাড়ার ভালকি বিলে সরে জমিনে গেলে দেখা যায়, বিলের মাঝ খানে প্রায় ডজন খানের মৎস্য শিকারী নৌকা দিয়ে কারেন্ট জাল তুলছে।এসব ছোট আকারের মাছ না ধরলে মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে মাছগুলো বড় আকার ধারণ করতো।
এবার বর্ষা মওসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হওয়ার প্রচুর পরিমাণে দেশী মাছ পাওয়া যাচ্ছে। এসব কারেন্ট জাল বন্ধ করা গেলে প্রচুর মাছ পাওয়া যেতো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কারেন্ট জাল ব্যবহারকারী বলেন,এ জাল পানিতে দেওয়ার সাথে সাথে মাছ জালে পড়তে থাকে। ছোট বড় সকল প্রকার মাছ কারেন্ট জালে আটকা পড়ে। এদিকে বাড়ালেই পাওয়া যাচ্ছে কারেন্ট জাল। উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা গেছে মৎস্য শিকারীসহ সাধারন মানুষ কারেন্ট জাল কিনছে।
দোকানদার বস্তার কারেন্টজাল রেখে গোপনে বিক্রি করছে। এসব জাল ৫-৬ টাকা হাত দরে বিক্রি করছে। বিশেষ করে শ্যামগঞ্জ বাজারে এ কারেন্ট জাল বেশি বিক্রি হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো.মোজাম্মেল হক ভূইয়া বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধ কারেন্টজাল গোপনে বিক্রি করছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত দেয়া হবে। পাশাপাশি কারেন্ট জাল ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযানে পরিচালনা করবো।