৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় এবং ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ এ লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।২০ নভেম্বর ২০১৯ এ লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়।লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেয় ২ লক্ষ ৩৫ হাজার ২৯৩ জন পরীক্ষার্থী এবং পাশ করে ৭ হাজার ২৬১ জন।প্রথমে পোস্ট ছিল ১৩৭৮ টি কিন্তুু পরবর্তীতে পোস্ট বাড়িয়ে ১৯৯৯ টি করা হয়।প্রকৃতপক্ষে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শূন্য পদের সংখ্যা ৩৫০০ টি।৭১৬১ জন পাসকৃত পরীক্ষার্থীর অনেকেই ৯.০৯.২০১৮ হতে ১৫.০২.২০২০ তারিখে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকুরির পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন বা অপেক্ষায় আছেন।তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য নিয়োগের পদসংখ্যা নিম্নরূপ-
৩৭ তম নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রায় ১৩৬৫ জন নিয়োগ।
৩৮ তম বিসিএসে ২০২৪ জন চূড়ান্তভাবে মনোনিত হবে।খুব শীঘ্রই ৩৮ বিসিএসের রেজাল্ট প্রকাশিত হবে।
এছাড়াও ৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে ৪০ বিসিএসের রিটেন অনুষ্ঠিত হয়।
বিভিন্ন সরকারি ব্যাংকে ইতোমধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রায় ২৫০০ জন এবং কম্বাইন্ড সিনিয়র অফিসারের ১২০০+ নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে।
এছাড়াও পুলিশের SI তে ১৪০২ জন সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে।
NSI তে ১ম ও ২য় শ্রেণির ২৮৪ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন।আবার,দুদক AD এবং DAD এর ২৮৮ জনের নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন আছে।
এছাড়াও আরও প্রায় ৫০০ জনের অধিক ১ম ও ২য় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উপর্যুক্ত বিশ্লেষণ হতে বোঝা যায় যে,২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অদ্যবধি প্রায় ১০ হাজারের অধিক চাকুরি প্রার্থী ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকুরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন বা প্রক্রিয়াধীন রয়েছেন,যাদের অনেকেই সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২০১৮ সালের নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।ফলে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চূড়ান্ত নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার পরেও অনেকেই যোগদান করবেন না।সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের যে শিক্ষক সংকট চলছে, তাতে প্যানেল করাটা অতীব জরুরি।তাই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি যাতে অনতিবিলম্বে প্যানেল করা হয়,যার ফলে মাধ্যমিক শিক্ষা ব্যবস্থা সচল থাকবে এবং অনেক শিক্ষিত চাকুরি প্রত্যাশী চাকুরি পাবেন যা হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ঘোষিত মুজিব বর্ষে বেকারত্ব দূরীকরণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের একটি পদক্ষেপ।
রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
