রপান্তর বাংলা অনিয়মের বিরুদ্ধে, সত্যের পক্ষে
রুপান্তর বাংলা ময়নসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নিজেই উপজেলাধীন লক্ষীপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের কমিটি গঠন করেন। প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে অতি কৌশলে নির্বাচনী তফসিল গোপন করে সদস্যদের স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যম সদস্যদের নাম ঠিকানা নিজে স্বাক্ষর করে কমিটির কাগজপত্র গোপনে উদ্বোতন কর্তৃপক্ষের বরাবর জমা দিয়ে কমিটি অনুমোদন নিয়েছেন বল অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে বিদ্যালয়ের সর্বাচ্চ দাতা সদস্য মাঃ আবু তাহের সরকার ছানা মিয়া মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বার্ড ময়মনসিংহের চেয়ারম্যান, জেলা শিক্ষা অফিসার ও মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিদ্যালয়ে সরজমিনে গেলে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা জানান কমিটি গঠনের বিষয় তারা কিছুই জানেন না। তারা জানান, বিদ্যালয় কমিটি গঠন কল্পে ভোটার তালিকা তৈয়ারি, প্রিজাইডিং অফিসার কে তারা তাও জানেন না।
এব্যাপারে বিদ্যালয় কর্মরত ইংরপজী শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক, বিজ্ঞান শিক্ষক হাফিজুর রহমান, গণিত শিক্ষক মাঃ আব্দুর রশিদ, শরীর চর্চা শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন, কৃষি শিক্ষক ফরিদ উদ্দিন মাসুদ, ধর্ম শিক্ষক হুমায়ুন কবির, মজিবুর রহমান (অবঃ) এক্সটশন আছেন, তারা প্রত্যকে জানান, বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি হয়েছে কিনা তাদের জানা নাই। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে কোনো নির্বাচনী সভা হয়নি।
বিদ্যালয়ের অভিভাবক আশরাফুল আলম, মোফাজ্জল হোসাইন, শফিকুল ইসলাম উপস্থিত স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহানসহ এলাকার অভিভাবকরা জানান, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি হয়নি। কমিটি গঠনের বিষয়ে তাদেরকে জানানো হয়নি। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহুরা খাতুন ছুটিত থাকায় তার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, বিদ্যালয়প গঠন হয়নি। আমাকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম খান ভোটার তালিকাসহ প্রয়াজনীয় কাগজপত্র স্বাক্ষর করে দিতে বলে আমি স্বাক্ষর করে দেই। পরে তারা কমিটি প্রকাশ কর।
উপজলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহাদাৎ হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কাগজপত্র দেখা ছাড়া কিছু বলা যাবে না, কাগজপত্র দেখতে চাইলে তিনি অপারগতা প্রকাশ করে বিদ্যালয় গিয়ে জানতে বলেন। তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের স্বার্থে অনেক কিছুই করতে হয়। তিনি আরও বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে আমার নির্বাচন পরিচালনা করার দায়িত্ব কি প্রচার, মনোনয়নসহ অন্যান্য কাজ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব, প্রধান শিক্ষক এ কাজগুলা করছেন কিনা আমি জানি না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম লুৎফর রহমান বলেন, লক্ষীপুর বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলছি। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহন করা হব।
