ময়মনসিংহ প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার বেগম মনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের চাকুরীর মেয়াদ ৩১ জানুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখে শেষ হবে। পরবর্তীতে নিয়ম অনুযায়ী সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রুকুনুজ্জামান খান (বিএ) এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ার কথা। কিন্তু ইতিমধ্যেই তার বিরুদ্ধে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, এলাকার আশপাশের লোকজন, ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকবৃন্দ, এলাকার সাবেক ও বর্তমান মেম্বার বৃন্দ, গন্যমান্য ব্যক্তি ও শিক্ষক সহ উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধাচরণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেছে। যাহাতে উল্লেখিত বিতর্কিত শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ না দেওয়া হয় এবং সেই সাথে সহকারি শিক্ষক ইফতেখারুল হক (বিএ.বিএড.) কে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার আবেদন জানান।
জানা যায়, বেগম মনোয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এর চাকুরীর মেয়াদ আগামী ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫ ইং তারিখে শেষ হবে। নিয়ম অনুযায়ী সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রুকুনুজ্জামান খান (বিএ)। কিন্তু তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক না দেয়ার জন্য তার বিরুদ্ধে স্কুলের সভাপতি, দাতা সদস্য, সাবেক ও বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও ছাত্র-ছাত্রী অভিভাবকবৃন্দের ২৩০ জনের স্বাক্ষরিত আবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর রবিবার দাখিল করা হয়।
অভিযোগে জানা যায়, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রুকুনুজ্জামান খান (বিএ) এর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে যথা সময়ে উপস্থিত না হওয়া, ছাত্র-ছাত্রীদের বেধরক পেটানো, ক্লাসে বসে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে মোবাইলে গেম খেলা, ক্লাসে পড়ানোর প্রতি অমনোযোগী, স্কুলে সিগারেট খাওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরা হয়েছে।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি জানান, সিনিয়র শিক্ষক মোঃ রুকুনুজ্জামান খান কে আমার সামনে সিগারেট খেতে দেখিনি। ছাত্রদের পড়াতে হলে শাসন করতে একটু আধটু বেত্রাঘাঁত করার প্রয়োজন পরে। অবসর সময়ে মোবাইলে গেম খেলতেই পরে এতে দোষের কিছু দেখছি না। তবে আমার জানামতে তিনি একজন ভালো শিক্ষক।